বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ২০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এখন তিনি বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইকোনমিক ক্লাব অব ওয়াশিংটন ডিসিতে দেওয়া এক বক্তৃতায় নিজের সাফল্যের পেছনের রহস্য জানিয়েছেন জেফ বেজোস। তিনি জানান, প্রতিদিন সকালে নিজের জন্য এক ঘণ্টার সময় আলাদা রাখেন তিনি। এ সময় স্মার্টফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিকস যন্ত্র দূরে রেখে বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তাভাবনা বিশ্লেষণ করেন। জেফ বেজোস মনে করেন এই অভ্যাস তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা উন্নত করেছে।
জেফ বেজোসের মতে, সকালের এই অভ্যাসের কারণে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলোয় প্রাণবন্তভাবে অংশগ্রহণ করা যায়। এ বিষয়ে বেজোস বলেন, ‘আমি আমার প্রথম বৈঠক সকাল ১০টার জন্য নির্ধারণ করি। কারণ, আমি দুপুরের খাবারের আগে বেশি মেধা দিতে হয়, এমন বৈঠক করতে পছন্দ করি। বিকেল পাঁচটার দিকে আমি আর সমস্যা সম্পর্কে বেশি ভাবতে পারি না। পরের দিন সকাল ১০টায় আবার চেষ্টা করি।’
এক পডকাস্টে জেফ বেজোস বলেন, ‘আমি ধীরগতিতে সকাল শুরু করি। আমি ততটা সৃজনশীল নই, যতটা সবাই মনে করেন। সকালে উঠে হাঁটার পাশাপাশি আমি প্রতিদিনই ব্যায়াম করি। তবে দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেশ ধীরে চলাফেরা করে থাকি।’
জেফ বেজোস ২০২০ সালে ইনভেন্ট অ্যান্ড ওয়ান্ডার নামের একটি বই প্রকাশ করেন। সেখানে জেফ বেজোস নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আমি ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠি, তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাই। আমার আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। এতে আমি ভালো চিন্তা করতে পারি। আমি বেশি শক্তি পাই। মন মেজাজও ভালো থাকে।’
জেফ বেজোসের এই অভ্যাসের প্রভাব সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড লাইফস্টাইল মেডিসিন প্রোগ্রামের থেরাপিস্ট মারিস লোফেলার বলেন, ‘ভোরবেলা আপনার ফোনে স্ক্রল করার অভ্যাস বা খুব বেশি ঘুম আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দিতে পারে। যদি আপনি সকালে বিছানায় এক ঘণ্টা ফোন স্ক্রল করেন, তবে নেতিবাচক প্রভাব তেমন দেখা যাবে না। যদি তা অভ্যাস হয়ে যায়, তাহলে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এমন অভ্যাস আপনার ক্ষতি করবে।’